আবু সালেহ মোঃ আলমগীরঃ আসসলামু আলাইকুম।
আজ আমি আপনাদেরকে একটা ফর্মুলার কথা বলছি।
আমাদের সমাজে এমন কিছু পরিবার দেখা যায়, যারা নিরবে কাঁদে। কারন পরিবারে অনেক সদস্য, চাহিদা অনুযায়ী রোজগারে লোক বলতে একজন। তা ও আবার আয় বলতে কিছুই নাই, শরীর স্বাস্থ্য সবসময় ভাল থাকেনা।
অবশ্য এটা সবার চোখে পড়েনা, শুধু আন্তরীকতা দিয়ে তাকালেই দেখা যায়, লোকটা কিভাবে চলছে!
তার তো একটা সংসার আছে, চাল, ডাল, কাপড় চোপড়, ঔষধপত্র কত কিছুই না লাগে। অথচ সে কাজ করতে পারছেনা। বা যা রুজি হয়, তাতে এগুলো কাভারেজ করা যায়না।
নিজের কথা ভাবুন! কেমন হত? যদি ঐ ব্যাক্তির স্থলে আপনি হতেন।
মহান আল্লাহর শুকরিয়া স্বরুপ, তার প্রতিনিধিত্ব করুন।
একটা টিম গঠন করুন, এবং সবাইকে আপনার উদ্দেশ্য শেয়ার করুন। গঠন করে নিতে পারেন মানবিক সংস্থা, নাম আপনার ইচ্ছানুযায়ী হতে পারে। আমরা সাজেশন করে থাকি “মানবতার ডাক।
আগামী শুক্রবার থেকে জুমার পর গ্রামে বের হয়ে যাবেন।
প্রত্যেক স্বচ্ছল পরিবারে গিয়ে বলবেন, আমরা একটি সংগঠন করেছি যার নাম “মানবতার ডাক”।
আমাদের সংগঠনে আপনাদের সহযোগীতা চাই। যে যত পারেন, প্রতি শুক্রবার আপনাদের কাছে আমরা আসবো, আপনারা আমাদের এই প্রচেষ্টার সহযোগী হিসাবে থাকবেন।
আরেকটু সহজ হবে যদি শুক্রবার জুমার খুতবার আগে একটু আলোচনা করে নিতে পারেন।
এতে ইমাম বা খতিবের সহযোগীতা নিতে পারেন। চাইলে ইমামকে এই সংগঠনের মোতাওয়াল্লী বানাতে পারেন। কয়েকজন সাদামনের মুরুব্বীগনকে উপদেষ্টা বানাতে পারেন।
যাক, এভাবে কয়েক সপ্তাহ কাজ করলে মোটা মোটি একটা তহবিল হয়ে যাবে। কারন প্রতি শুক্রবার এলাকা বুঝে প্রায় – ১/২ হাজার টাকা সংগ্রহ হতে পারে।
এবার সংগৃহীত তহবীল কিভাবে ব্যয় করবেন?
আর আপনারা এর নায়ক হয়ে যাবেন, মহান আল্লাহর নিকট।
কেয়ামতের দিন এটাও হয়ত নাযাতের উচিলা হতে পারে।
এই পোস্ট সকলকে জানিয়ে দেয়াও আমাদের দায়ীত্ব।
তাই আপনিও শেয়ার করতে পারেন, আপনার টাইমলাইনে। অথবা কোন গ্রুপে।
আল্লাহ হাফেজ
Leave a Reply