উত্তেজনায় ঘামছে ইফতি। একটু আগেই লাবণি ম্যাসেজ দিয়েছে ম্যাসেঞ্জারে।
‘আগামীকাল বাসায় কেউ থাকবে না, তুমি না আসতে চেয়েছিলা? এসো ‘।
ফজরের আগে এসে রাসেল ভাই ডাক দিয়ে একপ্রকার জোর করেই ওঠালো। মেসে থাকতে এই একটি কারণেই বিরক্ত লাগে ইফতির। যত্রতত্র মানুষ এসে অনধিকার চর্চা করে। অগত্যা বাধ্য হয়ে সালাত আদায় করতে হলো। সালাতের পর রাসেল ভাই জোর করে হাঁটতে নিয়ে গেলেন। রাসেল ভাই বললেন ‘ইফতি, তোমাকে ইউটিউবে একটি লিংক পাঠিয়েছি। কুরআন তিলাওয়াত। শুনে দেখো তো।
লাবণিদের বাসায় যাবার কথা বিকেলে। হাঁটার পর্ব শেষ করে দ্বিতীয় পর্ব ঘুম দিয়ে বেলা ১২ টা বাজাল। অতঃপর নিয়মমতো টেবিলে ল্যাপটপ নিয়ে বসল। রাসেল ভাই যে লিংক পাঠিয়েছে, কানে হেডফোন লাগিয়ে শুনল। বার পাঁচেক শোনার পর থিতু হলো।
মাথায় একটি আয়াত ঘুরছে ‘কলাত হাইতা লাক ‘।কিন্তু এর অর্থ কী। রাসেল ভাইকে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন এটি সুরা ইউসুফের আয়াত। কীভাবে নবীইউসুফ (আঃ) এক নারীর ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে পেরেছিলেন। আল্লাহ কীভাবে তার প্রিয় বান্দাকে অশ্লিলতা থেকে হিফাজত করলেন। চমৎকার এক কাহিনি।
বিকালে লাবণির বাসায় যাবার কথা। এখন ৪ টা বাজে। খচখচ করছে বুকের ভেতর। একটু আগে রাসেল ভাইয়ের শোনানোর কাহিনিটি বারবার মনে পড়ছে। প্রাসাদের এক কোনে এক নারী সকলের আড়ালে নবী ইউসুফকে বললেন – ‘হাইতা লাক ‘ – কাছে এসো। তিনি কোনো কিছু না ভেবে উল্টো দৌড় দিয়েছিলেন। আর আমি কিনা উল্টো একটি মেয়ের কাছে দৌড়ে যেতে চাচ্ছি! লাবণির বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্য ইফতি ভালো করেই জানত। এটি নিতান্ত মনের কোনো প্রেম নয়। দৈহিক একটি চাহিদা। নিতান্তই একটি অবৈধ ও গর্হিত কাজ। ৪ টা থেকে ৫ টা। মনটাকে শক্ত করে বাঁধল। ঠিক ৫ টায় লাবণির ম্যাসেজ – কোথায় তুমি? ইফতি একবার চেয়েছিল রিপ্লাই দেবে ; কিন্তু ভাবল এ রিপ্লাই থেকে শয়তান বহুদুর নিয়ে যেতে পারে। লাবণিকে ব্লক করে দেবার আগে মনে মনে পড়ল ‘ মাআযাল্লাহ ( আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই) ‘।
আলহামদুলিল্লাহ
পবিত্র প্রত্যাখ্যান
গল্পগুলো অন্যরকম।
টাইমলাইন থেকে নেয়া
Leave a Reply