৭ আজান আগেকার দিনে, মহামারী বিপদ আপদে একমাত্র উছিলা ছিল। কিছু কাঠমোল্লা বা ফেতনাবাজ আলেমরা অর্থাৎ সে বড় না আমি বড় মোল্লাদের আগমনে।
এই মহান ফজিলতের ৭ আজান বন্ধ হয়ে যায়। তাই বিপদ আপদগুলোও আস্তে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে, মুমিনদেরকে ছাড় দেয়না।
হাদীসের পাতা খুলে দেখুন, রাসুলুল্লাহ (স) আযানের ফজিলত সম্পর্কে কি আলোচনা করেছেন।
🔸 হযরত আনাস বিন মালেক (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন৷ রাসূলে কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “যে এলাকায় আযান প্রদান করা হয়, আল্লাহ তা’আলা তার আযাব থেকে ঐ দিন ঐ এলাকাকে নিরাপত্তা দান করেন।”
_____মুজামুস সগীর লিত তাবরানী, বাবুস ছোয়াদ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৭৯।
🔸 হযরত মাকীল বিন ইয়াসার (রা) হতে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যে সম্প্রদায়ে সকাল বেলা আযান প্রদান করা হল, তাদের জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর আযাব থেকে নিরাপত্তা রয়েছে৷ আর যেখানে সন্ধ্যায় আযান প্রদান করা হল, তাদের জন্য সকাল পর্যন্ত আল্লাহর আযাব থেকে নিরাপত্তা রয়েছে৷”
______মুজামুল কবীর লিত তাবরানী, খন্ড-২০, পৃষ্ঠা-২১৫।
হাদীস শরীফে রয়েছে, “যখন হযরত আদম (আলাইহিস সালাম) জান্নাত থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেন, তখন তার ভয়ভীতি অনুভূত হয়। তখন জীবরাঈল আলাইহিস সালাম আগমণ করে আযান প্রদান করেন৷”
_____হিলইয়াতুল আউলিয়া, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-১২৩, হাদীস-৬৫৬৬।
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) হযরত আলী (রা) কে ইরশাদ করেন, “হে আলী! আমি তোমাকে দুঃশ্চিতাগ্রস্থ অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। নিজের ঘরের কোন অধিবাসীকে কানে আযান দিতে বলো। আযান দুঃশ্চিন্তা ও দুঃখ প্রতিরোধকারী।”
_______(জামেউল আহাদীস লিস সুয়ূতী)
মুহাদ্দিসীনগণ লিখেন, স্বয়ং হযরত আলী (রা) সহ এই হাদীসের যতজন বর্ণকারী আছেন, সকলেই বলেন :
فجربته فوجدته کذلک ۔
অর্থাৎ, আমরা এটি পরীক্ষা করেছি আর এমনি পেয়েছি।”
____জামেউল আহাদীস লিস সুয়ূতী, খন্ড-১৫, পৃষ্ঠা-৩৩৯ | মিরকাতুল মাফাতীহ, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৩৩১৷
◾ বিখ্যাত ফিকহী মাসায়েলের কিতাব রদ্দুল মুহতার হাশিয়া আলা দুররিল মুখতারে রয়েছে, যে সকল সময়ে আযান প্রদান করা মুস্তাহাব, তার মধ্যে কয়েকটি হলো :
যাক, আমি আজ ৭ আজানের নিয়মাবলি আলোচনা করছি।
মাগরীবের পর মুসল্লীগন একত্রিত হয়ে, কারো বাড়ীর আঙ্গিনা বা মসজিদের আঙ্গিনায় ৩/৭/৯ কাতারে দাড়াতে হয়।
১ জন ইমামের মতই সূরা পড়বেন। বাকিরা শুধু আজান দিবেন। এবার শুরু করার নিয়মঃ
৩ দূরুদ শরীফ পাঠ করে সূরা ফাতেহা শেষ করেই ১ম আজান, সবাই ১ সাথে।
আজানে “হাইয়া আলাসালাহ্” ও “হাইয়াআলাল ফালাহ্” বলতে হবেনা।
এভাবেই আজান শেষ করার সাথে সাথে ইমাম সূরা ইয়াসিন শূরু করবেন।
১ম মুবিনে এসেই আবার ২য় আজান।
এবাবেই প্রতি মুবিনে ১বার আজান দিয়ে সূরা ইয়াসিন শেষ করবেন।
অতপর তওবা এস্তেগফার ও আয়তুল কুরসী পড়ে দূরুদ শরীফ পড়তে হবে।
অতপর মোনাজেতে, আল্লাহর নিকট ফানাহ চাইতে হবে।
পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। আমিন
Leave a Reply